পাবনা-১ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পাবনার বেড়া উপজেলার বাসিন্দারা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বেড়ার সিঅ্যান্ডবি মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে তাদের নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের অন্তর্গত দুটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চাই, পাবনা-১ এর সীমানা কারো একক সম্পদ নয়, জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না, গণদাবি অমান্য হলে গণআন্দোলন, নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানব না, বেড়া-সাঁথিয়ার বৈষম্য মানি না, মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
অবরোধকারীরা জানান, অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনকে ভাগ করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত।
বেড়া মডেল থানার ওসি একেএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন লোকজন। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরাও অংশ নিয়েছেন। অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, বিজয়নগরকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই ইউনিয়ন। পাশাপাশি উন্নয়নবঞ্চিত হবে ওই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তাই ওই দুই ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মন্তব্য করুন