নড়াইলের লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত কৃষক সুফল বিশ্বাসের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি পরিবারটিকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে সুফল বিশ্বাসের বাড়িতে যান মাশরাফি। তিনি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য।
এ সময় তিনি নিহত সুফল বিশ্বাসের স্ত্রী সোনা রানী বিশ্বাস, মা দেনতারা বিশ্বাস ও তিন সন্তানের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজ-খবর নেন। মাশরাফি তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি এ চেয়ারে থাকলেও আপনাদের পরিবারের পাশে থাকব, না থাকলেও পাশে থাকব। সুফলের তিন সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব আমরা বহন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশের মাটি আপনাদের, আমাদের সবার। আপনারা নিজেদের কখনো দুর্বল মনে করবেন না। সব সময় আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।’
মাশরাফি বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটার পূর্বেই সমাধান করতে হবে। আমরা অশান্তি চাই না। নিজেদের সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এ অঞ্চলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন-খারাবির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে নিরপরাধ মানুষকে আসামি করা হয়, এটি কাম্য নয়। এ ছাড়া অনেক হত্যার বিচার হয় না। একশ্রেণির ধুরন্ধর ও লোভী মাতব্বররা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলা মিটিয়ে ফেলেন। এতে বিচার না হওয়ায় পরে আরও হত্যার ঘটনা ঘটে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরান আহমেদ শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মগবুল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, লাহুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম শিকদার।
লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরান আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল এবং সুফলের স্ত্রী সোনা রানী বিশ্বাসের নামে বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুফলের তিন সন্তানের স্কুলের লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে।’
১৭ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলায় কৃষক সুফল বিশ্বাস (৩৬) নিহত হন। ১৯ আগস্ট সুফলের স্ত্রী সোনা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন দুজন।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চলছে।’
মন্তব্য করুন