ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি ও শ্মশানঘাট

ভেড়ামারার উপজেলার বাহাদুরপুরের মাধবপুর এলাকায় নদীভাঙনের চিত্র। ছবি : কালবেলা
ভেড়ামারার উপজেলার বাহাদুরপুরের মাধবপুর এলাকায় নদীভাঙনের চিত্র। ছবি : কালবেলা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙনে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত শ্মশাঘাটও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৮০-৯০ জন পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি তাদের ৩০০০ পিলি (পানবরজের সারি) পান বরজ নদীতে ভেঙে গেছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আরকান্দি ও মাধবপুরে বিগত ৪ দিন ধরে পদ্মা নদীতে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা রায়টা-মহিষকুন্ডি বেড়িবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কম। হুমকিতে রয়েছে বসতবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এই নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে এই অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের। তাদের দাবি, যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় রকমের বিপর্যয়।

অপরদিকে মাধবপুরের ভাঙনকবলিত এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রান্তিক চাষিদের পান বরজ। গত কয়েকদিনের ভাঙনে ৮০-৯০ জন পান চাষির প্রায় ৩০০০ পিলি পান বরজ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই অঞ্চলের হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশানঘাটটি নদীতে হারিয়ে গেছে।

আমিরুল আলি নামের এক কৃষক জানান, তার ভাই আরজেত আলি ও তার ছেলেদের ৭/৮ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখানে প্রায় ৮০০ পিলি পানের বরজ ছিল। একমাত্র উপার্জনের জায়গা হারিয়ে তারা এখন পথের ফকির।

মবির পণ্ডিত, রেজাউল, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা, নাসির, আনেজ, আজগর, আবু, শিহাব এরা সকলেই ১০০ পিলি করে পানের বরজ হারিয়েছেন।

পানচাষি আবুল হোসেন বলেন, মাধবপুর এলাকায় গত দুই বছর আগে এই সমস্ত বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এবার আবার পদ্মা নদী গিলে নিল। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায়।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ভাঙনের বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। শীঘ্রই সেখানে পরিদর্শন করব। আর বসতবাড়ি থাকার কারণে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুরে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে কাজ শুরু হবে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে ভাঙনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্যানসারের কথা জানতে পেরে ৩ ঘণ্টা কেঁদেছিলেন সঞ্জয় দত্ত

গণিতে বিশ্বসেরা হলেন বাংলাদেশের এক প্রতিষ্ঠানের ৫ শিক্ষার্থী

সুমনের বিশ্বাসঘাতকতায় চরম মূল্য দিলেন রুমি

আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা!

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল হক বাধ্যতামূলক অবসরে

‘নুরাল পাগলার ঘটনায় কোনো গণগ্রেপ্তার হবে না’

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব শহীদ খান কারাগারে

সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা / শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে আইন শক্তিশালীকরণ জরুরি

২৫ সেকেন্ডে হাতুড়ির দিয়ে ২৩ বার আঘাত করা হয় ইকবালকে

জেন-জিদের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি

১০

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

১১

রাকসু নির্বাচনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নাঈম / সীমাবদ্ধতা নয়, অনুপ্রেরণার নাম

১২

সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি ঐক্য পরিষদের

১৩

যুক্তরাষ্ট্রে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ভারতীয় নারী

১৪

৫ বছর পর দেশে ফিরলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা

১৫

কুমিল্লায় মা-মেয়ের মৃত্যু, সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল

১৬

ভিসা নিয়ে কঠোর বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৭

ম্যাচ চলাকালে মাঠেই প্রাণ হারালেন খেলোয়াড়

১৮

খেলাধুলা নয়, রিলেশনশিপ কৌশলের নাম বেঞ্চিং

১৯

চোখের নীরব বিপদ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি

২০
X