দৈনিক কালবেলা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে গত ৭ সেপ্টেম্বর ‘অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন পান শিক্ষক দম্পতি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক দম্পতি।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবাদলিপিতে ৬৩নং চর জহির উদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনির উদ্দিন জানান, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের শিক্ষক দম্পতির সুনাম নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদনটি করিয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে, ছুটি ছাড়া বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার ঘটনা ঘটেনি। আমার ১৬ মাসের মেয়ে অসুস্থ থাকায় আমার স্ত্রী আলপনা খাতুন তার কর্মস্থল ৮৪নং দক্ষিণ পশ্চিম চাঁচড়া স.প্রা.বি. থেকে গত ২৭-৮-২৩ইং থেকে ২৯-৮-২৩ইং পর্যন্ত তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিলেন। মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে আমিও আমার কর্মস্থল ৬৩নং চর জহির উদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত ২৮-৮-২৩ইং থেকে ৩০-৮-২৩ইং পর্যন্ত তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে বাসায় আসি। গত ২৯ তারিখে ৮৪নং দক্ষিণ পশ্চিম চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের চাচা মারা যাওয়ায় এবং ওই শিক্ষক আমার প্রতিবেশী হওয়ায় ওইদিন তাকে সমবেদনা জানানোর জন্য আমার স্ত্রীর কর্মস্থলে যাই।
দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে আমার স্ত্রীর কর্মস্থলের পাশেই সে বাসাভাড়া নিয়ে থাকে। প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্যেও ‘অতিরঞ্জিত’ করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া আমার যে বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও আমার সঙ্গে কথা না বলে ‘মনগড়া’ লেখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন