ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। এদিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অবরোধ করেন তারা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের হামিরদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দৃশ্য চোখে পড়ে। সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। পরে অবশ্য সাড়ে ৯টার দিকে তুলে নেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম খান বলেন, আলগী চেয়ারম্যানকে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে, দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, রাতের বেলায় প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করা যাবে না এবং নতুন করে মামলা দেওয়া যাবে না। এসব শর্ত না মানলে আন্দোলন চলবেই।
এদিকে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল মল্লিক। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিস্টদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিসি-এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা সচেষ্ট।
এর আগে সোমবার ফরিদপুর-৪ আসন থেকে দুই ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ভাঙ্গায় অবরোধ চলে। সকাল থেকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা ১১টা থেকে সব সড়ক বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর করে।
দুপুর ১২টার দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান করা আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দক্ষিণপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে গিয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ভাঙ্গা ঈদগাহ মারকাজ মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়, সেখানে গিয়েও আন্দোলনকারীরা হামলা চালায়।
পরে সেখান থেকে একদল থানায় গিয়ে হামলা চালায়, আরেকদল উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর ও আগুন দেয়। এ সময় তারা প্রতিটি দপ্তরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
মন্তব্য করুন