সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ বড়কুপট বৈদ্য বাড়ি নদীর পাড়ের সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে এবার ভক্ত-দর্শনার্থীদের জন্য নির্মিত হয়েছে ২১ ফুট উচ্চতার ব্যতিক্রমী বিশ্বরূপ দুর্গা প্রতিমা।
স্থানীয় শিল্পীদের হাতে গড়া এ প্রতিমায় ভগবান বিষ্ণুর বিশ্বরূপে মাঝমধ্যে দুর্গার আবির্ভাব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দূর থেকে প্রতিমার রূপ এক নজরে চোখে পড়লেই মনে হয়, এটি কেবল ধর্মীয় অনুষঙ্গ নয় বরং এক অসাধারণ শিল্পকর্ম।
মণ্ডপে ঢুকলেই দেখা যায়, বাঁশ, কাঠ ও কাপড় দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব কাঠামো। রঙিন আলো-ছায়ার খেলা, শাস্ত্রীয় রূপচিত্র ও সজ্জা দর্শনার্থীদের নিয়ে যায় এক ভিন্ন জগতে। প্রতিমার চোখ, মুখমণ্ডল ও হাতের ভঙ্গিমায় ফুটে উঠেছে শিল্পীদের সৃজনশীলতা। ভক্তদের অনেকে বলছেন, প্রতিমাটি দেখে মনে হচ্ছে যেন এক জীবন্ত কাব্য।
মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভক্ত-দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে। নদীর পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ২১ ফুট উঁচু প্রতিমার সম্মিলন আধ্যাত্মিক এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দক্ষিণ বড়কুপটের এই পূজা মণ্ডপে প্রতিবছরই থাকে আলাদা চমক। কখনো বিশালাকার সর্পমূর্তি, কখনো যুগল প্রতিমা। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। দর্শনার্থীরা বলছেন, প্রতিমাটি দেখতে এসে শুধু চোখই নয়, মনও তৃপ্ত হচ্ছে।
উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শিবু প্রসাদ বৈদ্য বলেন, আমরা প্রতিবছরই কিছু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি। এ বছর ২১ ফুট উচ্চতার বিশ্বরূপ প্রতিমা নির্মাণ আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ভক্তরা প্রতিমা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন, এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।
মন্তব্য করুন