সন্তান নিয়ে পার্কে ঘুরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুটি বেসরকারি চ্যানেলের দুই ফটোসাংবাদিক। এ সময় মারধর করা হয় সাংবাদিকের তিন বছর বয়সী শিশুসন্তানকেও। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে বরিশাল নগরীর বেল্স পার্ক সংলগ্ন গ্রিন সিটি পার্কের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, মহানগর ছাত্রদলের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেল্লাল গাজী ও মহানরের ৪ নম্বর সহসভাপতি সোহেল খানের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে সাংবাদিকদের ওপর।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন সুমন হাসান ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন শাকিল মাহমুদ পাপ্পু। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত গণমাধ্যমকর্মী পাপ্পু’র বড় ভাই নিউজ টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপার্সন শুভ হাওলাদার বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সোহেল খান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেল্লাল গাজী, তাদের সহযোগী সাকিব, সোহেল ও রাহাত। হামলাকারীরা সবাই নগরীর বান্দরোড কেডিসি (রাজ্জাক স্মৃতি) কলোনীর বাসিন্দা।
হামলার শিকার পাপ্পুর বড় ভাই শুভ জানান, বরিশাল ক্লাবে স্থানীয় একটি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম সুমনের ছেলের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাংবাদিকরা। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সুমন হাসান তাঁর তিন বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে সিটি করপোরেশনের অধিনস্ত গ্রীন সিটি পার্কে ঘুরতে যান দুই সাংবাদিক।
তারা পার্কের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা বেল্লাল গাজী। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে সুমন হাসানের তিন বছরের কন্যাসন্তানও আহত হয়। তখন দূর থেকে দেখে পাপ্পু এসে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
হঠাৎ পেছন থেকে পাপ্পুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ছাত্রদল নেতা সোহেল খান। মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীরা। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়ান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তখন দ্বিতীয় দফায় ধাক্কাধাক্কি হয় তাদের মধ্যে।
তবে এমন ঘটনা জানা নেই বলে দাবি করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করীম রনি। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা পার্কে ঘুরতে যাবে, তাতে ওদের (হামলাকারী ছাত্রদল নেতাকর্মী) সমস্যা কোথায়? কেন এই ঘটনা ঘটেছে, আমি খোঁজ নিয়ে দেখিছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোহাম্মদ নাসির বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে ঘটনার সময়ের ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন