রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিচারহীনতার ১৩ বছরে এসে কী বলছে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধপল্লিতে হামলার ঘটনা ঘটে। পুরোনো ছবি
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধপল্লিতে হামলার ঘটনা ঘটে। পুরোনো ছবি

কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধপল্লিতে হামলার ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্র্যাজেডি স্মরণে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়। পাশাপাশি এদিন উপলক্ষে বুদ্ধ উপাসনা, পতাকা উত্তোলন, অষ্টশীল গ্রহণ, চিত্রাঙ্কন ও চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র ও প্রামাণিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন স্থানীয় যুবকদের সমন্বয়ে গঠিত বুড্ডিস্ট সোশ্যাল মুভমেন্ট।

রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ শীলপ্রিয় মহাথের বলেন, ২০১২ সালের এদিনে হওয়া সহিংসতার ১৩ বছর হলেও আমরা সঠিক বিচার পাইনি। তাই আমরা বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ রামুর বৌদ্ধমন্দির হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার নিশ্চিত করা হক। পাশাপাশি নিরীহ কাউকে যেন বিচারের নামে হয়রানি করা না হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।

স্থানীয় ছাত্রনেতা মোহাম্মদুল হক জনি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে এখানে সম্প্রীতির মাঝে বড় হয়েছি। তবে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছিল রামুর বৌদ্ধমন্দিরগুলো। দুঃখের বিষয় সেদিনের নারকীয় তাণ্ডবে জড়িতদের এখনো বিচার হয়নি। আজকে হামলার ১৩ বছরে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদিকে অ্যাডভোকেট শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, রামুর বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বসতিতে হামলার ১৩ বছর অতিক্রান্তে আমাদের বিচার চাইতে হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য যেমন লজ্জার; তেমনি রাষ্ট্রের জন্যও লজ্জার। আমরা বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রপক্ষ শুনে এসেছি সাক্ষীর অভাবে বিচার কাজ থমকে আছে। আজকে হামলার ১৩ বছরে এসে রাষ্ট্রের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, সাক্ষ্য আইন ২০২২ অনুযায়ী তখনকার ছবি ও ভিডিও চিত্রগুলোকে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করে বিচার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া সঠিক ও ন্যূনতম বিচার পাওয়ার সুযোগ নাই আমাদের।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় যুবক উত্তম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে রামুর ১২টি বৌদ্ধমন্দির ও ২৬টি বৌদ্ধ বসতিতে হামলা করা হয়। পরদিন উখিয়া ও টেকনাফে ৭টি বৌদ্ধমন্দিরে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

পরে এই হামলার জেরে রামু, উখিয়া ও টেকনাফে মোট ১৯টি মামলা হলেও পরে ১টি মামলা আপসের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়। বাকি ১৮ মামলায় মোট ৯৯৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে এসব মামলার সাক্ষ্যদাতারা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও নিরাপত্তার অভাবে আদালতে সাক্ষী না দেওয়ায় ১৩ বছরেও মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ন্যাড়া হলে কি চুল ঘন হয়, জানুন গবেষণা কী বলছে

প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা কুমার শানুর; চাইলেন ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা দেখতে কত লাগবে জানা গেল

ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো হীরা, অর্ধকোটির মালিক দুই বন্ধু

বিছানায় নাশতা, উহ, ওটা বোরিং: মেহজাবীন

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মোসাদ প্রধানের হুঁশিয়ারি

‘ভাই’ সম্বোধন করায় সাংবাদিকের ওপর খেপলেন ম্যাজিস্ট্রেট

জুলাই হত্যাযজ্ঞ / কাদের-সাদ্দামসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

হোস্টেলে মিলল এনসিপি নেত্রীর মরদেহ

১০

আইপিএল: কলকাতার সম্ভাব্য সেরা একাদশ প্রকাশ, আছেন যারা

১১

উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই সরকারি বাসায় থাকছেন আসিফ-মাহফুজ

১২

চট্টগ্রামে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন

১৩

ভারতীয় ভিসা সেন্টার পুনরায় চালু

১৪

ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ, দাবি ট্রাম্পের শীর্ষ সহকারীর

১৫

সন্ত্রাসী লালুসহ গ্রেপ্তার ৪

১৬

জকসু নির্বাচনে প্রচারণার ৩ দিনেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ হয়নি, ক্ষোভ প্রার্থীদের

১৭

রাতে আটক, ভোরে মিলল নারীর ঝুলন্ত মরদেহ

১৮

রাজধানীতে ট্রাক উল্টে সড়কে তীব্র যানজট

১৯

বাথটাবে মরা বাঘ, হাতে কুড়াল; শাকিবকে টেক্কা দেবে সিয়ামের ‘রাক্ষস’

২০
X