ফরিদপুর ও চরভদ্রাসন প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না গ্রামে’

সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাওয়া সড়ক। ছবি : কালবেলা 
সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাওয়া সড়ক। ছবি : কালবেলা 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চর সুলতানপুর-গাজিরটেক সড়কের ধোপাডাঙ্গী মৃধাবাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইটের সোলিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি তলিয়ে যায়।

ফলে চলতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে স্থানীয়সহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।

স্থানীয়রা জানান, চর সুলতানপুর-গাজিরটেক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কডটিতে পানি জমে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। পাশাপাশি বেহাল এই সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

তারা আরও জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকা করা হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।

প্রবীণ রফি মৃধা আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিবার জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসই দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্ষাকালে সড়কটি পানিতে এমনভাবে ডুবে যায় যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়াও সম্ভব হয় না।

গৃহবধূ আলিয়া বেগম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে ভ্যান, রিকশা বা অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যের বাড়ির উঠান দিয়ে বিকল্প পথে চলাচল করতে হয়। কিন্তু সব সময় সেই সুযোগ থাকে না। সড়কের ওপর সারা বছরই পানি জমে থাকে। এই সড়ক দিয়ে এখন কোনো কাজই হয় না। স্কুল, মসজিদ বা মাদ্রাসায় যেতে হলে অন্যের আঙিনা দিয়ে ঘুরতে হয়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় রোগী নিয়ে। অ্যাম্বুলেন্সও গ্রামে ঢুকতে পারে না।

গাজিরটেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি ও জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, খুব শিগগির পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল সাত্তার কালবেলাকে বলেন, যেসব সড়কে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো অনেক আগে এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছিল। রাস্তাগুলো টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন কালবেলাকে বলেন, নতুন অর্থবছরে আমরা বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। সড়কটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেসবুকে উত্তরপত্র

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প

১৩৬ পুলিশ পরিদর্শকের বদলি

জামায়াত নেতা তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ক্লাসে বসা নিয়ে তর্ক, নবম শ্রেণির ছাত্রের ছুরিকাঘাতে আহত ৫

মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করেন? জানুন এতে কী হয়

২৪ ঘণ্টায়ও থামেনি হংকংয়ের আগুন, বেড়েছে নিহতের সংখ্যা

মৃত মা-বাবার জন্য সওয়াব পৌঁছাতে যে ২ আমল করবেন

দুদকের জালে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

১০

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত : ইসি সচিব 

১১

শেখ হাসিনা-জয় ও পুতুলের সঙ্গে অন্য ১৮ আসামির যে সাজা হলো

১২

কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৭৪ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা

১৩

শ্যালো মেশিন চুরি নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

১৪

পায়রা থেকে ১৯৬০ কিমি দূরে নিম্নচাপ, বাতাসের গতিবেগ ৪০ কিমি

১৫

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে : ইসি সচিব

১৬

গিনি-বিসাউয়ের ক্ষমতা দখল সেনাবাহিনীর, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার

১৭

বিপিএলের নিলামে ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম

১৮

ঘরে দুর্বল ওয়াই-ফাই? কয়েকটি সহজ পরিবর্তনেই মিলবে দারুণ স্পিড

১৯

রিকশাচালকদের জন্য সুখবর দিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

২০
X