শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২
ফরিদপুর ও চরভদ্রাসন প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না গ্রামে’

সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাওয়া সড়ক। ছবি : কালবেলা 
সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাওয়া সড়ক। ছবি : কালবেলা 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চর সুলতানপুর-গাজিরটেক সড়কের ধোপাডাঙ্গী মৃধাবাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইটের সোলিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি তলিয়ে যায়।

ফলে চলতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে স্থানীয়সহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।

স্থানীয়রা জানান, চর সুলতানপুর-গাজিরটেক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কডটিতে পানি জমে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। পাশাপাশি বেহাল এই সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

তারা আরও জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকা করা হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।

প্রবীণ রফি মৃধা আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিবার জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসই দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্ষাকালে সড়কটি পানিতে এমনভাবে ডুবে যায় যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়াও সম্ভব হয় না।

গৃহবধূ আলিয়া বেগম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে ভ্যান, রিকশা বা অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যের বাড়ির উঠান দিয়ে বিকল্প পথে চলাচল করতে হয়। কিন্তু সব সময় সেই সুযোগ থাকে না। সড়কের ওপর সারা বছরই পানি জমে থাকে। এই সড়ক দিয়ে এখন কোনো কাজই হয় না। স্কুল, মসজিদ বা মাদ্রাসায় যেতে হলে অন্যের আঙিনা দিয়ে ঘুরতে হয়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় রোগী নিয়ে। অ্যাম্বুলেন্সও গ্রামে ঢুকতে পারে না।

গাজিরটেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি ও জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, খুব শিগগির পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল সাত্তার কালবেলাকে বলেন, যেসব সড়কে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো অনেক আগে এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছিল। রাস্তাগুলো টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন কালবেলাকে বলেন, নতুন অর্থবছরে আমরা বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। সড়কটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সহজ ম্যাচ ঘাম ঝড়িয়ে জিতল বাংলাদেশ

ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের হামলা / শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মালয়েশিয়া প্রবাসী আহত

বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন!

সুপারির বাম্পার ফলন, লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা

প্রতিমা বিসর্জনেও ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা

মধ্যরাত থেকে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক মারা গেছেন

গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের কার্যক্রমকে অস্বীকার, বাগছাস নেতাকে আলটিমেটাম

এনসিপি থেকে আরও ২ নেতার পদত্যাগ

১০

দেশকে উন্নতির শিখরে নিতে একযোগে কাজ করতে হবে : শিমুল বিশ্বাস

১১

বোনের চল্লিশার মুরগি আনতে গিয়ে সড়কে গেল ভাইয়ের প্রাণ

১২

ছাত্রদলে যোগ দিলেন ইউনিয়ন শিবির সভাপতি

১৩

গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা 

১৪

মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সড়কে স্থানীয়রা

১৫

দুর্গাপূজায় ডিউটিরত আনসার কমান্ডারের মৃত্যু

১৬

‘অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না গ্রামে’

১৭

লাউয়াছড়া উদ্যানে হঠাৎ গাড়ি পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা, ভোগান্তিতে পর্যটকরা

১৮

চোখের নিচের কালো দাগ কখন ভয়াবহ রোগের লক্ষণ? যা বলছে গবেষণা

১৯

ধর্মের নামে সমাজের বিভক্তি রুখে দেবে জনগণ : রহমাতুল্লাহ 

২০
X