চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রেম করে বিয়ের পর ঘরে বউ তুলতে পারলেন না আবদুল খালেক (২৮) নামের এক যুবক। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মসজিদ্দা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়াস পেট্রল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আবদুল খালেক সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকার আবদুল হাদী দুলালের ছেলে।
জানা গেছে, খালেক গত দুই মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। বাবার ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেকের বড় ভাই মহরম আলী রিপন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আব্দুল খালেক সকাল ৯টার দিকে সাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় চয়েস নামের যাত্রীবাহী একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতের বড় ভাই মহরম আলী রিপন বলেন, দুই মাস আগে আমার ভাই প্রেম করে বিয়ে করে বাবার ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে মসজিদ্দা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আজ সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি যাত্রীবাহী বাসচাপায় সে মারা যায়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, আব্দুল খালেককে চট্টগ্রামুখী চয়েস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত আব্দুল খালেককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানায় ওসি আব্দুল মোমেনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি। কিন্তু নিহতের বড় ভাই মহরম আলী রিপন বলেন, আমরা কোনো মামলা করব না। বিনা ময়নাতদন্তে আমার ভাইয়ের মৃতদেহ গ্রহণ করার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন