শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের হানা, ৭ দালালের দণ্ড

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান। ছবি : কালবেলা
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান। ছবি : কালবেলা

সরকারি হাসপাতালের রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ ফজলের নেতৃত্বে অভিযানটি চালানো হয়। এতে হাসপাতাল এলাকা থেকে সাতজন দালালকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন- আল মামুন বাদশা (২৫), রেজাউল ইসলাম গাজী (৪২), সাগর হোসেন রনি (২০), মিলন কুমার ঘোষ (১৮), অচিন্ত কুমার বৈদ্য (৪৪), প্রসেনজিৎ কুমার মণ্ডল (৩১) ও মর্জিনা (৬০)।

এর মধ্যে আল মামুন বাদশা, রেজাউল ইসলাম গাজী, সাগর হোসেন রনি ও মিলন কুমার ঘোষকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্যামনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের কিছু চিকিৎসক ও কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের নির্দিষ্ট কয়েকটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে পাঠিয়ে কমিশন নিচ্ছিলেন—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের আউটডোর ও জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। তারা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন, টেস্ট রেফার তালিকা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রসিদ যাচাই করে দেখেন, অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতালের নিজস্ব পরীক্ষাগার থাকলেও রোগীদের বাইরে পাঠানো হচ্ছিল।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ ফজল বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে দালালচক্র ও কমিশন বাণিজ্য রোগীর অধিকার লঙ্ঘন। আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি, নির্দিষ্ট কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কমিশন চুক্তির ভিত্তিতে রোগী পাঠানো হচ্ছিল।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। চারজনকে কারাদণ্ড ও তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

অভিযান চলাকালে দুদক বেশ কিছু নথি জব্দ করে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা চায়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সচেতন নাগরিক জান্নাতুল নাঈম, আব্দুল আহাদ ও উৎপল মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে দালালচক্র সক্রিয় ছিল। রোগী এলে প্রথমেই দালালেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দিকে নিয়ে যেত। দুদকের এই পদক্ষেপে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হওয়া উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল বন্ধ

রাজশাহী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির ৩৮ দফা দাবি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা / আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে সরকার

১০

যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু

১১

নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ৪০ হাজার মানুষকে খাওয়ানো হবে বিরিয়ানি

১২

শিশু পুষ্টিতে শাকসবজির গুরুত্ব নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৩

৮ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

১৪

ফ্যাসিস্ট পালালেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া দেশ থেকে যায়নি : জামায়াত আমির

১৫

দীর্ঘদিনের কাশি? কখন ফুসফুস পরীক্ষা করাবেন জানুন

১৬

শ্রমিকদের চা খেতে দেওয়া তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

১৭

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’, যা বললেন বক্তারা

১৮

ভালোবাসার এক বছর 

১৯

নারায়ণগঞ্জে মার্কেটে আগুন, পুড়ে গেছে ৩০ দোকান

২০
X