

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। এ মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. আরাফ।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে— সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সাবেক আইটিসি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাবেক নারী এমপি ডরোথী রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি খাদিজা খাতুন শেফালি, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের স্বতন্ত্র সাবেক এমপি প্রার্থী শাহাজাদি আলম লিপি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাফি মহায়মেন, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফি নেওয়াজ খান রবিন, বগুড়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বাদশা, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নানের ভাই রাজু ওরফে এসি রাজু, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকার উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর বেশ কজন চিকিৎসক, ক্লিনিক মালিককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বগুড়া সদর, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, শাজাহানপুর, ধুনট, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জের অনেককেই আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী আরাফ অভিযোগ করেন, তিনিসহ একাধিক ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট দুপুরে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি বড়গোলা সড়কে মিছিল নিয়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই লাঠিসোঁটা, কাঠের বাটাম, রড, হকিস্টিক, চাকু, চাপাতি, ককটেল, বন্দুকসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালালে তিনিসহ অসংখ্যজন গুরুতর আহত হন। এ সময় তার শরীরে ৪৩টি গুলিবিদ্ধ হয়।
আরাফ অভিযোগে বলেন, এতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে ছাত্র-জনতা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বনানী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে ছাত্ররা জরুরি ভিত্তিতে আমাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও আসামিরা চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে বাধ্য হয়ে বাসাতেই চিকিৎসা নেই। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করি।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন