

চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়া নিয়ে পালানো মাহবুব আলমকে (৪৩) গ্রপ্তার করা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে নগরের পাঠানটুলি গায়েবি মসজিদের সামনে থেকে হাতকড়া নিয়ে উলঙ্গ অবস্থায় পালায় মাহবুব। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলাসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তিনি ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলি গায়েবি মসজিদের বিপরীতে জাফর সওদাগরের বাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফজল করিমের ছেলে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন ফয়জুল্লা বলির বাড়ি এলাকা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহবুব।
র্যাব জানায়, মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় নাশকতা এবং মাদকের ৬টি মামলার তথ্য মিলেছে। তথ্যমতে, মাহবুব আলম প্রকাশ ইয়াবা মাহবুব পাঠানটুলি এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এলাকায় প্রকাশ্যে বিচরণ ছিল তার। গত ২২ সেপ্টেম্বর পাঠানটুলি গায়েবি মসজিদের সামনে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানের তবারক বিতরণের সময় মাহবুবের উপস্থিতি ছিল।
এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে উঠায়। সে সময় তাকে গ্রেপ্তারের খবরে তার পরিবার পুলিশের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে পরিহিত লুঙ্গি ফেলে হাতকড়া নিয়ে পালায় মাহবুব। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কর্তব্যরত পুলিশের হাত থেকে আসামি পালিয়ে গেলে সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
ঘটনার সত্যতার বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শ্রীমা চাকমরি কাছে জানতে চাইলে তিনি ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদের বরাতে বলেন, ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ তাকে পাঠানটুলি এলাকায় মাদকের অভিযানের বিষয়ে জানিয়েছেন। তবে আসামি পলায়নের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া পলাতক আসামি মোহাম্মদ মাহবুব আলম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় অবস্থান করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সিডিএমএস পর্যালোচনা করে মো. মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় নাশকতা এবং মাদকের ৬টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ডবলমুরিং থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ডবলমুরিং থানার একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগেযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন