

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সহকারী সার্জন ডা. মো. মিলন হোসেন বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু ঘিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীফলকাঠি এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিশাত নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে পথে খানপুর এলাকায় শিশুটির মৃত্যু হলে স্বজনরা লাশসহ আবারও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরে আসেন।
এর কিছুক্ষণ পর ১০-১২টি মোটরসাইকেলে করে ২৫-৩০ জন ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে সহকারী মেডিকেল অফিসার আবদুল আজিজকে মারধর শুরু করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক আবদুল আজিজ বলেন, শিশুটির মাথার হাড় ভেঙে মগজ বের হয়ে এসেছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দ্রুত তাকে মেডিকেলে রেফার করি। পরে একদল লোক হাসপাতালে ঢুকে আমাকে মারধর করে।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ তরফদার বলেন, শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ডাক্তারদের অনুরোধ করেও চিকিৎসা পাইনি। পরে বাচ্চা মারা গেলে কিছু আত্মীয় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে আমরা কেউ মারধর করিনি, বরং ঠেকানোর চেষ্টা করেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগে হামলার ঘটনায় চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন