

স্থানীয় এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে আসামিদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পৌর এলাকার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের গুনাগাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, শেফালী আক্তার কোলাপাড়া গ্রামের উপজেলার বন বিভাগে কর্মরত বন প্রহরী মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের দুই ছেলে ফয়সাল ও রাজিবের বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরশুরাম থানার এসআই মুন্না শুক্রবার সকালে দুই কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আবার উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দুপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়। এ সময় ফারুক হোসেন ও তার দুই ছেলে ফয়সাল ও রাজিব ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় পরশুরাম থানার এসআই মুন্না কনস্টেবল রুহুল আমিন এবং নাজমুল আহত হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেজাউল করিম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের ঘটনা শুনে মীমাংসার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ মীমাংসা করে দেন। এ সময় এক পক্ষ পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
পরশুরাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্না বলেন, শেফালী আক্তারকে উত্ত্যক্ত করায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আবার উত্তেজনা দেখা যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দিয়ে চলে আসার সময় ফারুক হোসেন ও তার দুই ছেলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমিসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম বলেন, ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার সময় ফারুক ও তার ছেলেদের হামলায় পুলিশের এসআইসহ ২ কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন