ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়া নারীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া গার্মেন্টসকর্মী শামসুন্নাহার (৪৫) মারা গেছেন। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

ভালুকা থানার ওসি কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুরের রিদিশা গার্মেন্টসে কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। পথে ভালুকা সিডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় ওই নারী একা থাকায় চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা চালান চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন নারী। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, তারপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় ওই নারী মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে স্থানীয়রা প্রথমে ভালুকা সিডস্টোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে ও পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত অবস্থায় শামসুন্নাহারকে প্রথমে সার্জারি ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও পরবর্তীতে নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করার পর রোববার বেলা পৌনে ১১টায় তিনি মারা যান।

ভালুকা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে চালক রাকিব (২১), সহকারী আরিফ (২০) ও সুপারভাইজর আনন্দ দাসকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা ও দাফনকাজের খরচের জন্য ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, একযুগ আগে কিশোরগঞ্জের শাহজাহানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে শামসুন্নাহারের। এরপর দুই ছেলে ও এক মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গাজীপুরে গিয়ে গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ শুরু করেন শামসুন্নাহার। চাকরি থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সন্তানদের খরচ জুগিয়েছেন তিনি। মেয়ে সুইচি আক্তারকে বিয়ে দিয়েছেন এবং দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। বড় ছেলে মো. সজীব সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তৃতীয় সেমিস্টার ও ছোট ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম সাকিব কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, ‘আমার মা অনেক কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। মায়ের আয় দিয়ে আমাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি। তিনি আজ চলে গেলেন। আল্লাহ ছাড়া আমাদের দেখার আর কেউ রইল না।’ তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ন্যায় ও আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে : বাবর

ফিল্মফেয়ারে রেকর্ড গড়ল ‘লাপাতা লেডিস’

কলকাতায় অমিতাভের জন্মদিনে চল্লিশা পাঠ

বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

বিএনপির ৩১ দফা দেশের মানুষকে বাঁচানোর রূপরেখা : রাশেদুল আহসান

আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান

দল কমলেও বিপিএলে বাড়ছে ভেন্যু

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখে যা বললেন রোজিনা

হঠাৎ কেন আফগান সীমান্তে হামলা চালাল পাকিস্তান

যুবদল নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

১০

ইসরায়েলকে উড়িয়ে দিল নরওয়ে

১১

কারিনার রাগ সামলানোর উপায় জানালেন সাইফ

১২

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহছানুল হক

১৩

হলুদ রঙে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলেছে বন লবঙ্গ

১৪

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস আয়োজনে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

১৫

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

১৬

গোল করে, করিয়ে দলকে জেতালেন মেসি

১৭

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৮

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই : বিজিএমইএ সভাপতি 

১৯

অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ / বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

২০
X