

ফেনীর পরশুরামে পরিত্যক্ত ঘরের বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৪০৭ টাকা আসলেও সংশোধনের পর সেই বিল এখন মাত্র ৬৫ টাকা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের রেজু মিয়া পরিবার নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করেন। গ্রামের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরটিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মাঝে মাঝে একটি লাইট জ্বলে। এতদিন সেখানে জিরো ইউনিট বিলই আসত।
গত ১০ নভেম্বর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা বিলের কাগজ পৌঁছে দিলে ‘ভুতুড়ে’ বিলের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি সফটওয়্যারের ত্রুটিজনিত ভুল।
ভুক্তভোগী গ্রাহকের ছেলে আমির হোসেন জুয়েল জানান, আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকি না। সেটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে বাড়িতে গেলে চাচার বাড়িতেই থাকি। আমাদের চাচাতো ভাই যখন বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখায়, তখন আমরা হতবাক হয়ে যাই। এতদিন এই ঘরের বিদ্যুৎ বিল সাধারণত শূন্যই থাকত, কারণ সেখানে সন্ধ্যার পর শুধু একটি বাতি জ্বলে। পরে আমরা বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের আগের মাসের বিলের কাগজ পাঠানোর জন্য বলেছিল। বর্তমানে ওই মিটারের বিদ্যুৎ বিল ৬৫ টাকা এসেছে। ইতোমধ্যেই তা পরিশোধ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরশুরাম পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম সুহেল আখতার কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ বিলটি ভুলবশত তৈরি করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে সংশোধন করা বিল গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং গ্রাহক এটি পরিশোধ করেছেন। তবে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারো অবহেলা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘মাঠে না গিয়ে অফিসে বসে বিল তৈরি করা হয়’ গ্রাহকদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে বসে তো বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা সম্ভব নয়। মানুষ মাত্রই ভুল করে, কাজ করতে গেলে ভুল হবেই। ভুল হলে আমরা তা সংশোধন করে দেওয়ার চেষ্টা করি।
মন্তব্য করুন