

বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিউর রহমান তালুকদার মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মতিউর রহমান (৯০) হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন।
রাজনৈতিক জীবনে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া মতিউর রহমান তালুকদার প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সেসময় জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। আর ২০০১ সালের নির্বাচনে মজিবুর রহমান তালুকদার নির্বাচনী জনসভায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন শেখ হাসিনা। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র সাড়ে তিন হাজার ভোটে পরাজিত হন মতিউর রহমান তালুকদার। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ৩টি আসনে জয়ের পর বরগুনা-৩ আসন ছেড়ে দিলে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হন মতিউর রহমান তালুকদার। এরপর তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আসন পুনর্নির্ধারণের পর তিনি বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তবে তিনি মনোনয়ন পাননি। মতিউর রহমান তালুকদারের মৃত্যুতে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্তব্য করুন