

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব ও শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু বলেছেন, আমি হিংসা-বিদ্বেষ চাই না। দল-মত নির্বিশেষে একসঙ্গে কাজ করলে অবহেলিত শরীয়তপুরকে উন্নত ও শান্তিপূর্ণ জেলায় পরিণত করা সম্ভব। এমপি হতে আসিনি, শুধু দোয়া চাই।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। এরপর গণসংযোগে অংশ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন সমস্য নিয়ে কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করা হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন। তাদের সুস্থতা আজ দেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’
দোয়া মাহফিল শেষে তিনি ইসলামপুর ও কনেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও প্রদান করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। নিয়মিত পড়াশোনা ও খেলাধুলায় অংশ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। যে কোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাটি দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলেও এখন মানুষ নতুন আশার আলো দেখছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের পরিকল্পনায় শরীয়তপুরকে আধুনিক জেলায় রূপান্তর করা হবে। শরীয়তপুর আমার ঘর। পরিবারের সদস্যদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না নিজের ঘরকে নিজের মতো করেই সাজাবো।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের পাশাপাশি ইসলামপুর ও কনেশ্বর ইউনিয়নের জনবহুল বাজার, গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন তিনি। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আগামী নির্বাচনে ভোট ও দোয়া কামনা করেন। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি তিনি অতীতে নিহত বিএনপি নেতাকর্মীদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
দিনব্যাপী এ গণসংযোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডের শত শত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ডামুড্যা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান মধু বলেন, ‘আজ কনেশ্বর ও ইসলামপুরে মানুষের যে ঢল নেমেছে, তাতেই প্রমাণ হয় অপু ভাই ইতোমধ্যেই মানুষের মন জয় করেছেন। অবহেলিত শরীয়তপুরের উন্নয়নের জন্য তাকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই।’
গণসংযোগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান বাচ্চু সরকার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিতুল গণি মিন্টু সরদার, ডামুড্যা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, সদস্য জিল্লুর রহমান মধু, উজ্জ্ল সিকদার, রেজাউল করিম শ্যামল বেপারী, পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর মাদবরসহ স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।
মন্তব্য করুন