কক্সবাজারের পেকুয়ায় মায়ের দায়ের করা মামলায় কারাগারে গেলেন পুত্র মৌলভী জালাল উদ্দিন (৪২) নামের মসজিদের এক ইমাম। সে উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা পেকুয়ারচর এলাকার বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র ও উজানটিয়া সুতাচোরা আতর আলীপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
১৮ সেপ্টেম্বর চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহিদ হোসেন মৌলভী জালাল উদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা মারা যাওয়ার পর খোরপোশ ও জায়গা জমি নিয়ে মৌলভী জালাল উদ্দিন এবং তার মা আনোয়ারা বেগমের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। শফিকুর রহমানের ৬ মেয়ে, ১ ছেলেসহ স্ত্রী রয়েছে। তার রেখে যাওয়া জায়গা জমি নিয়ে ৬ মেয়ে, স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে মৌলভী জালাল উদ্দিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে ৬ বোনকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছিল জালাল। ৮০ বছর বয়সী মাকে অত্যাচার নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সন্তানের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বৃদ্ধ বয়সে আনোয়ারা বেগম মেয়েদের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। স্বামীর রেখে যাওয়া জায়গা জমি ছেলে একাই ভোগ করছিলেন। অন্যদিকে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তার ভরণ পোষণ দিতেন না জালাল। ২ মাস আগে স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আনোয়ারার জন্য ১টি মাথা গোঁজার জায়গা করা হয়। কিন্তু সেখানেও বাধ সাধে ছেলে। মৌলভী জালাল উদ্দিন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে গভীর রাতে মায়ের একমাত্র মাথাগোঁজার আশ্রয়টুকু ভাঙচুর করে ঘরটি মাটিতে মিশিয়ে দেয়। এর জের ধরে আইনি প্রতিকার চেয়ে বৃদ্ধ নারী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছেলে জালাল উদ্দিনকে বিবাদী করে মামলা রুজু করে। যার নং সিআর ২১৬১/২৩ইং ১৮ সেপ্টেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। জাহিদ হোসেনের বিচারিক আদালত আসামির জামিন না মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মুজিবুল হক ও অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান। অপরদিকে আসামিপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির ও অ্যাডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন।
মন্তব্য করুন