কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন। ছবি: কালবেলা
ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন। ছবি: কালবেলা

রাজধানী ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় প্রথমবারের মতো আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম -ঢাকা’।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী খান লিথোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিতে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আর ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল নেত্রকোনা জেলা। আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও গুরুত্ব তুলে ধরার আহব্বান জানান তারা। সেইসাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরনে নেত্রকোণা সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন আলোচকগণ।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি কলামিস্ট ও জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা মোশতাক আহমেদ,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এর অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান , সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরিফ খান, সংগঠক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জান্নাতুল বাকের খান নন্দনসহ নেত্রকোণা সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন নেত্রকোণা সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র সভাপতি রফিক মুহাম্মদ । এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৯ ডিসেম্বর জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোণা মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর তিন দিক থেকে আক্রমণের মুখে ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল পাক বাহিনী। ৮ ডিসেম্বর রাত থেকেই নেত্রকোনা শহরের বর্তমান বিএডিসি কৃষিফার্ম এলাকায় অ্যাম্বুস পেতে অপেক্ষায় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। টাইগার খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক আহমদের নেতৃত্বে ভোরের আলো যখন ফুটতে থাকে তখনি শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। মরণপণ লড়াই করে নেত্রকোণা শহরকে মুক্ত করতে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন আবু খাঁ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রশিদ প্রমুখ। ৮ ডিসেম্বর রাত থেকে ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে শহরের রাজুরবাজার, চকপাড়া, সাতপাই, কাটলী, নাগড়া, কৃষিফার্ম এলাকা থেকে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেশবপুরে চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার’

সিলেটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর

হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া

জনসভায় হামলা-ভাঙচুর গণতন্ত্রের ওপর গভীর হুমকি : জেএসডি

একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল

সিলেটকে বাংলাদেশের ১ম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্যোগ

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে তারেক রহমানের দুঃখ প্রকাশ

১০

বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : টুকু

১১

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন

১২

এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল

১৩

যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা

১৪

যাত্রীদের সুসংবাদ দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

১৫

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৬

গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

১৭

শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৮

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৯

‘বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে টাকা ফেরত দিতেই হবে’

২০
X