চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফে)র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি মিজানুর রহমানের (৫০) লাশ ছয় দিন পর হস্তান্তর করেছে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে জীবননগর থানা পুলিশের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করেন। মিজানুরের স্ত্রী নাসিমা খাতুনের তার লাশ শনাক্ত করে।
জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় বিজিবি, বিএসএফ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার শেখ পাড়ার মো. নবিছদ্দীনের ছেলে।
জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরে বিএসএফ লাশ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বেনীপুর বিওপির কমান্ডার মো. আতিয়ার রহমান, জীবননগর থানার পরিদর্শক এসএম রায়হান, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগর থানা পুলিশের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আইনগত ব্যবস্থা শেষে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে মৃতদেহ দাফনের জন্য তার নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন শেখপাড়া গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সে তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বেনীপুর গ্রামের মো. মধুর ছেলে বাদল (৪০), মো. কাউছারের ছেলে ফারুক (৩৫), মো. আরিফের ছেলে জীবন (৩৫) নামের তিনজন মিজানুর রহমানকে ভারতে ধুর (অবৈধভাবে মানুষ পারাপার) পার করার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। তারা ফেরত আসলেও মিজানুর ফেরত না আসায় বাদলের নিকট তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ফারুক ও মিজানুর ওই পারে (ভারত) আটকা আছে। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিজান বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে।
মন্তব্য করুন