বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল শেখ (৫৭) হত্যার ঘটনায় অবশেষে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৮ জুন) রাতে নিহতের স্ত্রী মাহাফজুা বেগম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বাগেরহাট পৌর শহরের নাগেরবাজার এলাকার আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী কালা সোহেল বাহিনী প্রধান সোহেল হাওলাদারকে। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন কালাম বয়াতি ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে নিবাস।
জানা গেছে, চিংড়ি ঘেরসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার চিংড়ি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে রাস্তায় আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল শেখকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বাগেরহাট পৌর শহরের আলোচিত সন্ত্রাসী কালা সোহেল ওরফে সোহেল হাওলাদার ও তার ভাই রাখা হাওলাদারসহ সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী দা, হাতুড়ি ও হকিস্টিক নিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে জনসম্মুখে এ তাণ্ডব চালায় এবং আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল শেখ ওরফে আনার ওপর হামলা করে।
নিহতের ছোট ভাই বাচ্চু শেখ বলেন, সোহেলের খালু কালাম বয়াতির সঙ্গে ঘের নিয়ে বিরোধ ছিল আমার। আমার ভাইয়ের আনারুলের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ ছিল না। তারপরও তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল শেখ বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গনি শেখের ছেলে। তিনি বাগেরহাট পৌর সভার আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। এ দিকে সন্ত্রাসী কালা সোহেল আওয়ামী যুবলীগের সদস্য।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম ওরফে আনা হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন