ফেনীর সোনাগাজীতে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৪৫) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা ও ট্রাক্টরচালক মো. রিয়াদকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাদের দুজনকে উপজেলার কারামতিয়া বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ইমাম হোসেন উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে এক কিশোরী থানায় হাজির হয়ে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী এলাকার বাসিন্দা ইমাম হোসেন ও তার ট্রাক্টরচালক রিয়াদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করে। এর কয়েকদিন আগেও ওই কিশোরী স্থানীয়দের কাছে আরেক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. তাসলিম হুসাইন ও থানার ওসি মো. ইমাম হাসানসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমাম হোসেন ও তার ট্রাক্টরচালক রিয়াদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরীর এক আত্মীয় বলেন, ওই কিশোরীকে নানান ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ইমাম হোসেন ও তার ট্রাক্টরচালক রিয়াদ বাড়িতে ঢেকে এনে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ইমাম হোসেন সরকার দলীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে ট্রাক্টরচালক রিয়াদ ও অন্য একজনকে ফাঁসাতে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইমামকে মামলা থেকে রক্ষা করতে দলীয় নেতাকর্মীরাও কিশোরীর পরিবারকে চাপ দিচ্ছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন বলেন, চর দরবেশ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি ইমাম হোসেন নির্দোষ ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। তাহলে তাকে রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. তাসলিম হুসাইন বলেন, ইমাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি ও তার ট্রাক্টরচালক রিয়াদের বিরুদ্ধে থানায় এক কিশোরী ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ করেন। ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় তিনি সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমাম হোসেন ও তার ট্রাক্টরচালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা করা হবে।
মন্তব্য করুন