ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ রকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে নদীগুলো পানিতে ভরে উঠলেও জেলার হাওরগুলো এখনো পানিতে পরিপূর্ণ হয়নি। হাওরে পানি ঢোকায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাওরের বাঁধ ও স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ছাতকের জাউয়াবাজার, চরমহল্লা ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নের কিছু সড়ক পানিতে তলিয়েছে। অনেকের বাড়িঘরের সামনে পানি চলে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এই পানি হয়েছে।
উত্তর কুরমা ইউনিয়নের ছোটবিহাই গ্রামের বাসিন্দা আজির উদ্দিন বলেন, আজ সোমবার সকালে বাড়ির উঠানে পানি এসেছে। এ রকম বৃষ্টিপাত হতে থাকলে পানি ঘরে ওঠে যাবে।
একই ইউনিয়নের রুক্কা গ্রামের বাসিন্দা মোজাহিদর রহমান বলেন, প্রতিবছরই বর্ষার শুরুতে এই রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায়। নিচু এলাকা হওয়ায় কিছুদিন বৃষ্টিপাত হলেও পানিতে কিছু সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।
ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরে জামান চৌধুরী বলেন, ছাতকে পানি আসে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন একেবারে বর্ডার সংলগ্ন হওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানির লেয়ার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের বাড়িঘরে পানি ঢুকেনি। তবে ছাতকে সুরমা নদীর পানি কিছুটা বিপৎসীমার ওপরেই আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব বন্যাশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে দুটি করে নৌকা প্রস্তুত রাখার জন্য বলেছি। এ ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বন্যার্তদের মাঝে খাবার সরবরাহেও আমরা প্রস্তুত আছি। ২০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবস্থা করেছি।
মন্তব্য করুন