লক্ষ্মীপুরে গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা ও রাস্তাঘাট। কারও কারও পুকুর ভেসে মাছ বেরিয়ে গেছে। এতে করে যেমন বেড়েছে ভোগান্তি তেমনই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ্মীপুরে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (০৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগতি আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. সোহরাব হোসেন।
এদিকে লক্ষ্মীপুর শহরের এবং আশপাশের এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল এবং যত্রতত্র ভরাট হয়ে পড়ায় ভয়াবহ জলবদ্ধতার কবলে পড়েছে পৌরবাসী।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার বিভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
টানা বর্ষণে জেলা শহর কলেজ রোড, পিটিআই মোড়, রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক, জেবি রোড, কালু হাজী রোডসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপের কারণে সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিচুস্থান ভরাট হয়ে পড়ায় পানি প্রবাহের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া নালা বা খাল দখল হয়ে পড়ায় ঠিকমতো বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। তাই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতার পেছনে মূলত নাগরিক সচেতনতার অভাব দায়ী। নাগরিকরা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অবাধে খাল দখল, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও পুকুর ভরাটের কারণেও পানি নিষ্কাশনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন করা হলেও তেমন সাড়া মিলছে না। বিভিন্ন স্থানে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা খালের উচ্ছেদ অভিযান এবং খাল পরিষ্কার অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
জেলার রামগতির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহওয়া পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাত আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তবে ভারি বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে।
মন্তব্য করুন