সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকার পর্যটন স্পটে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বান্ধবীসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। এ নিয়ে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সুলকাবাদ ইউনিয়নের ডলুরা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে হৃদয় (২৩) ও মেয়ে আখি আক্তার রিয়া (১৯), একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ (২৪), একই ইউনিয়নের মথুরকান্দি গ্রামের একলাস মিয়ার ছেলে সামওয়েল আহমদ ইশা (২০) ও হৃদয় মিয়া (২২)। এর আগে ঘটনার পর পরই মঙ্গলবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আসামি শামিম মিয়াকে উপজেলার বাঘবেড় থেকে গ্রেপ্তার করে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়। সে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবেড় গ্রামের তার বান্ধবী রিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসত। একপর্যায়ে বান্ধবীর ভাইয়ের বন্ধু হৃদয় আহমদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সোমবার মেয়েটি বান্ধবীর বাড়িতে গেলে হৃদয় আহমদ তাকে বেড়ানোর কথা বলে তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন স্পট বারেক টিলায় নিয়ে যায়।
এ সময় তাদের সঙ্গে হৃদয়ের আরও দুই বন্ধু পর্যটন এলাকা ঘুরতে যায়। ফেরার সময় টিলার নির্জন স্থানে নিয়ে তিনজন মিলে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। পরে তাদের আরেক বন্ধু শামিমকে মোবাইল ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। পরে সেও কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে তারা রাত ৯টার দিকে মেয়েটিকে রিয়াদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। মেয়েটি বান্ধবী রিয়াকে পুরো ঘটনা খুলে বললে কাউকে না জানাতে সে নিষেধ করে।
এদিন রাত ১১টার দিকে রিয়ার বড় ভাই হৃদয় মেয়েটিকে নানার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অজ্ঞাত একটি জায়গায় ফেলে রেখে চলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
তাহিরপুর থানার ওসি কাজী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, উপজেলার সীমান্ত এলাকা বারেক টিলায় গণধর্ষণের ঘটনায় ৫ আসামিকে বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন