পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে ওয়ালিদ হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টম্বর) সকালে প্রাইভেট পড়ে ফেরার সময় অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়ালিদকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা।
অভিযুক্ত ওয়ালিদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য গুলশাহানারা লিপির ও মৃত আফসার চেয়ারম্যানের একমাত্র ছেলে। তার বাড়ি উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ভাঙ্গুড়া থানাধীন একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের একজন গণিত শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়ার জন্য যান। প্রাইভেট পড়া শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি আসার পথে পাথরঘাটা বিশিপাড়া বটতলা মোড়ে পৌঁছালে অভিযুক্ত ওয়ালিদ (১৭) ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে তার বসতবাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
তবে ওই ছাত্রীকে নিয়ে ওয়ালিদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি ছাত্রীর পিতাকে মোবাইল ফোনে ঘটনা জানালে তিনি দ্রুত আসামির বাড়িতে উপস্থিত হন। এরপর বাড়ির আশপাশের কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে একটি ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভাঙ্গুড়া থানার এসআই হাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ওয়ালিদ দরজা খুলে দেয়। পরে পুলিশ ওয়ালিদকে আটক করে তার শয়ন কক্ষে গিয়ে ভিকটিমের অচেতন দেহ মেঝেতে পরে থাকতে দেখে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। কিন্তু ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের পিতার ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্তকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মন্তব্য করুন