নওগাঁর মান্দায় নির্মাণের এক বছর না যেতেই ধসে পড়েছে কালভার্ট। এতে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে হাজারো মানুষ।
স্থানীয়দের দাবি, দায়সারাভাবে কালভার্টের নির্মাণ করায় তা ভেঙে গিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে ভেঙে যাওয়া কালভার্টের জঞ্জাল সরিয়ে একই স্থানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কশব তালপাতিলা জোকাহাট চলাচলের রাস্তার ওপর ওই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। তবে তা ধসে পড়ে আছে।
তালপাতি গ্রামের ওবায়দুর রহমান বলেন, কালভার্টটি ধসে যাওয়ায়, তালপাতিলা আমিনগঞ্জ, পলাশবাড়ী, চকউলী, শিবনগর, জোকাহাটের লোকজনসহ এই সড়কে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আব্দুর রৌফ নামের আরেকজন বলেন, এই কালভার্টটি কোনোমতে দায়সারা হিসেবে কাজ করেছে। গ্রামবাসীদের এই সড়ক দিয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। ফলে অনেকটা যাতায়াতের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ টাকার এই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের প্রায় এক বছর পর কালভার্ট ধসে গিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যাতায়াতের চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান বলেন, কালভার্টের নির্মাণ কাজে কোনো গাফিলতি ছিল না। স্বল্প বরাদ্দে যেভাবে কালভার্ট নির্মাণের কথা ছিল ঠিকাদার সেভাবেই কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। ভারি বৃষ্টি ও বন্যার তীব্র স্রোতের কারণে কালভার্টের দুপাশের মাটি সরে গিয়ে কালভার্টটি ধসে পড়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, কালভার্ট ধসে পড়ার বিষয়টা এখানো জানা যায়নি। তবে এরকম ঘটনা যদি ঘটে যায় তাহলে উপজেলা পরিষদ থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন