তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নিয়ে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্টটি ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে প্রত্যাহারের জন্য বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। মামলায় নাগরিক টিভির এডিটর ইন চিফ কানাডাপ্রবাসী নাজমুস সাকিব নামে কথিত এক সাংবাদিক ও ইউটিউবারসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া এ কনটেন্টে যারা লাইক কমেন্ট শেয়ার করেছেন তাদেরও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ড. হাছান মাহমুদকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানহানি ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কুমানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ থেকে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়। এই ভিডিওতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদসহ তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
এমন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ এমরুল করিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ।
যোগাযোগ করা হলে ট্রাইব্যুনাল পিপি মেজবাহ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, মামলার অভিযোগটি তদন্ত করতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার শাখাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে ভিডিওটি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা হলে এই বিষয়ে বিটিআরসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে রোববার (১৮ জুন) রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরের চকবাজার থানায় সাইবার আইনে একটি মামলা করেন।
মন্তব্য করুন