বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরেরে তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলে ভোলার উপকূলের প্রভাব পড়ার কথা রয়েছে। আর বুধবার সকালে হাতিয়া ও সন্ধীপ উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করবে।
ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় এবং এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এড়াতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলা জেলা প্রশাসন। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার জন্য ৮টি কন্ট্রোল রুম, ৯২টি মেডিকেল টিম ও ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপকূলের মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘সত্তরের ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ তথা ভোলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এর পরবর্তীতে অন্য কোন ঘূর্ণিঝড় বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় মহাসিন, আইলার, সিডর নার্গিস সহ অন্যান্য যে সকল ঝড় ভোলার উপর আঘাত হানলেও বড় ধরনের তেমন ক্ষতির মধ্যে ভোলাবাসীকে পড়তে হয়নি। এর পেছনে একমাত্র কারণই হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি।
তাই আসন্ন ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় এরই মধ্যে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, মেডিকেল টিম, আশ্রয় কেন্দ্র সহ রয়েছে পর্যাপ্ত রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার পর্যাপ্ত ভলেন্টিয়ার সদস্য।
মন্তব্য করুন