লালমনিরহাটের কালিগঞ্জের বুড়িরহাট সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে গরু চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে রাইফেলের ৩০ রাউন্ড এবং এসএমজির ৮ রাউন্ডসহ মোট ৩৮ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে বিজিবি। সংঘর্ষে নায়েক মোহিবুল্লাহ নামের এক বিজিবি সদস্যসহ দুজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বুড়িরহাট বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের খান্ডোরচওড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোড়ল ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে পার হয়ে আসা ভারতীয় গরু নিয়ে চোরাকারবারির একটি দল খান্ডোরচওড়া হয়ে শিয়ালখোওয়ার দিকে যাচ্ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িরহাট বিওপির ১টি টহল দল সীমান্ত পিলার ৯১৮ হতে ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খান্ডোরচওড়া এলাকায় গরু ও চোরাকারবারিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১০টি গরু আটক করে। পরে আটক গরু ছিনিয়ে নিতে চোরাকারবারিরা বিজিবির ওপর হামলা করে। এতে চোরাকারবারিদের লাঠির আঘাতে বিজিবি সদস্য নায়েক মো. মোহিবুল্লাহ আহত হন। পরিস্থিতির অবনতি হলে টহলদল আত্মরক্ষার্থে রাইফেলের ৩০ রাউন্ড এবং এসএমজির ৮ রাউন্ডসহ মোট ৩৮ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করলে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা সাদেকুল ইসলামের ছেলে পারভেজ হোসেন পাবেল নামের একজন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্যরা পৌঁছালে পরিস্থিতি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে আসে।
গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, বিজিবির সঙ্গে চোরাকারবারিদের সংঘর্ষে একজন বিজিবি সদস্য ও স্থানীয় একজনের আহত হওয়ার কথা শুনেছি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে বুড়িরহাট বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খান্ডোরচওড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০টি ভারতীয় গরু আটক করলে চোরাকারবারিরা গরু ছিনিয়ে নিতে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে একজন বিজিবি সদস্য আহত হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি ৩৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। বিজিবির ওপর চোরাকারবারিদের হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন