ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা

শীতের আগে দম ফেলার সময় নেই ব্রাহ্মণপাড়ার লেপ-তোষকের কারিগরদের। ছবি: কালবেলা
শীতের আগে দম ফেলার সময় নেই ব্রাহ্মণপাড়ার লেপ-তোষকের কারিগরদের। ছবি: কালবেলা

প্রকৃতিতে এখন চলছে শরৎকাল। আবহাওয়ায়ও এসেছে পরিবর্তন। সকাল-সন্ধ্যা হালকা শীতের আমেজ বইছে। পুরোপুরি শীত আসতে যদিও আরও কিছুদিন বাকি। এদিকে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার লেপ-তোষকের কারিগররা। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করছেন তারা, যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। তবে, আধুনিক সময়ে এসে নানা ধরনের বাহারি কম্বল বাজারে আসায় আগের তুলনায় বেচা বিক্রি কমেছে বলে আক্ষেপ লেপ-তোষকের কারিগরদের।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানে দোকানে চলছে লেপ, তোষক, বালিশ, কোলবালিশ ও জাজিম তৈরির প্রতিযোগিতা। এবার আকারভেদে প্রতি পিস লেপ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, তোষক ১৫০০ থেকে ২০০০, জাজিম ৪৫০০ থেকে ৫০০০ ও বালিশ জোড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

লেপ-তোশকের দোকান মালিকেরা জানান, বছরের প্রায় আট মাস তেমন বেশি কাজ হয় না। শীতের ৪ মাসের আয়-রোজগার দিয়ে বাকি আট মাস চলতে হয় তাদের। তাই দিন রাতে কাজ করতে হয় শীতের মৌসুমে। তবে, আধুনিক সময়ে এসে বাহারি ডিজাইনের কম্বল বাজারে আসায় কমে এসেছে লেপ-তোষকের চাহিদা।

লেপ-তোষকের কারিগর রাসেল বেডিং স্টোরের মালিক আমির হোসেন জানান, ‘বর্তমান বাজারে কম্বলের চাহিদা বেশি, তাই দিন দিন লেপ-তোষকের চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের অলস কাটাতে হয়। শীতের ২-৩ মাসই আমাদের ব্যাবসায়িক মৌসুম। যার কারণে এই সময়ে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বেশিই থাকে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মতো লেপ-তোষক তৈরি করে আমাদের এসব ডেলিভারি দিতে হচ্ছে। আশা করছি সামনে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদাও যেমন বাড়বে তেমনি আমাদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে।’

উপজেলা সদরের লেপ-তোষকের আরেক কারিগর আক্তার হোসেন বলেন, ‘এবার শীতের আগেই সন্ধ্যারাত থেকে ভোর বেলা পর্যন্ত কিছুটা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এতে এখনই কিছু অর্ডার হচ্ছে। তীব্র শীত শুরু হলে দোকানগুলোতে চাপ আরও বাড়বে।’

লেপ-তোষক ক্রয় করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে শেষ রাতে ঠান্ডা লাগে, তাই আগেভাগেই একটি পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। সাথে একটি নতুন লেপ কিনেছি। তবে গতবারের চেয়ে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপের দাম বেড়ে গেছে ।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১২ দল ও সমমনা জোটের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক

১৭১ রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠাল বিজিবি

গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খালেদ হোসাইনের নেতৃত্বে নতুন সদস্যদের গণসংহতি আন্দোলনে যোগদান

গাজীপুরে প্রবাসী বিএনপি নেতা পারভেজের প্রার্থিতা ঘোষণা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম প্রশিক্ষণ দেবে তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন

স্বপ্নদ্রষ্টার হাত ধরে ল্যাবএইড এআইয়ের উদ্বোধন

মতবিনিময় সভায় যুব নেতারা / জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে 

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

১০

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

১১

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

১২

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

১৩

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

১৪

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

১৫

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৭

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১৮

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১৯

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

২০
X