গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী হরতাল-অবরোধে পাবনায় বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৫১ জন নেতাকর্মীকে। এর মধ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২৫৬ জন নেতাকর্মী আর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ৯৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনা জেলা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা অধিকাংশই পূর্বের নাশকতা মামলার আসামি এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়াও যারা নাশকতার চেষ্টা করছেন তাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তবে বিএনপি ও জামায়াত বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশ জামিনে ছিলেন। শুধু চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে কোনো নেতাই বাড়িতে থাকতে পারছে না। প্রতি রাতেই বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে।
পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ মন্টু বলেন, সরকার আরেকটা একতরফা নির্বাচন করতে এবং আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। আমাদের সব নেতাকর্মী এখন ঘরছাড়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঈশ্বরদীতে। কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলছে এবং খুব দ্রুতই এর সুফল পাব।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান চলমান। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যে কোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের বাড়তি নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন