১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জ-৫ আসন (নিকলী-বাজিতপুর)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। তার মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ছয়জন মনোনয়ন চাইবেন বলে প্রচারণা রয়েছে। তাদের মধ্যে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পালের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে জনসমাবেশ, গণসংযোগ, পথসভার পাশাপাশি লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এতে করে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন এবং তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। চায়ের স্টল থেকে অফিস পাড়া সব জায়গাতে সুব্রত পালকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সমর্থন জানিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। সামনে নির্বাচনে ত্যাগী এই নেতাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিবেন এ ব্যাপারে আশাবাদী ভোটাররা।
হিলচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও প্যানেল চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, সুব্রত পালের বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিলচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের পরিবারের ঐতিহ্য রয়েছে। বিগত ৩৫ বছর ধরে সুব্রত পাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ যুব লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। যোগ্যতা না থাকলে প্রধানমন্ত্রী কখনও ওই আসনে বসাতেন না। এই এলাকায় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ দিয়ে উন্নয়ন করেছেন। এলাকার গরীব মেহনতি মানুষকে বিভিন্নভাবে আর্থিক ভাবে সহায়তা করেছেন। নিকলী-বাজিতপুর আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে সবসময় আছেন। তাদের সুসংগঠিত রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন।
সরারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল কাদির বলেন, বাজিতপুর-নিকলীতে সুব্রত পালের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সামনে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয় সেটা সাধারণ ভোটারদের দাবি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে হলে কেন্দ্রীয় যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পালের বিকল্প নেই।
৬ নম্বর হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ বলেন, সুব্রত পাল একজন সৎ মানুষ। কর্মীবান্ধব একজন নেতা। তার কাছে যে কেউ আসলে কখনও আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় না। চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাই সুব্রত পালকে যেন মনোনয়ন দেন তাহলে বাজিতপুর-নিকলীর মানুষ শান্তিতে থাকবে।
বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন (মোবারক মাস্টার) এর মতে সুব্রত পাল সামনে আসাতে মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ চাই সামনে নির্বাচনে তাকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয়। বাজিতপুর একটি ঐতিহাসিকভাবে রাজনৈতিক উর্বর ভূমি। এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এই শান্তি থাকাটা মানুষ সুব্রত পালের কাছ থেকে আশা করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য বাজিতপুরে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেন নাই। রাজনৈতিকভাবেও খুব একটা পরিবর্তন আসে নাই। দলে একক আধিপত্য স্থাপন করায় সিনিয়র নেতারা রাজনীতি থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থাতে বর্তমান সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনকে আর চাচ্ছেন না। নিকলী-বাজিতপুরের সাধারণ মানুষ তরুণ প্রজন্মের একজন নেতৃতে আসুক সেটাই প্রত্যাশা করছেন। তার মধ্যে সুব্রত পাল অন্যরকম। এই আসনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে কোন উন্নয়নমূলক কাজ বাকি থাকবে না। প্রকৃত সেবক হিসেবে কাজ করবেন। এই বৃদ্ধ বয়সে দলের হাইকমান্ডের কাছে দাবি করছি নিকলী-বাজিতপুর আসনে একটি ভালো নেতৃত দেখে যেতে চাই এবং তরুণ প্রজন্মের আইকন সুব্রত পাল সেই আশা পূরণ করবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী সুব্রত পাল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নত রাষ্ট্র গড়তে হলে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলমত নিবির্শেষে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট আহ্বান করেন। তিনিই নৌকার মাঝি হিসেবে এ আসনে মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার ভোটার রয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গত ১৫ বছর যাবৎ মো. আফজাল হোসেন সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন