শিল্পাঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন। এ আসনে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ইতোমধ্যে গাজীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ চলছে। তিনিও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সচেষ্ট হচ্ছেন। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।
এ ব্যাপারে গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি রূপগঞ্জের মাটি ও জনগণের জন্য। তারা অবশ্যই আমার কাজের মূল্যায়ন করবে। আর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারেও আমি শতভাগ আশাবাদী।’
জানা যায়, ভিআইপি আসন হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে নিখুঁতভাবে প্রার্থী বাছাই করতে হয় দলের হাই কমান্ডকে। এ আসনে নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী অন্যতম।
মতিন চৌধুরীর ও জেনারেল সফিউল্লাহর মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো। কিন্তু নবম সংসদ নির্বাচনে মতিন চৌধুরী নির্বাচনে না আসায় এবং সফিউল্লাহ মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীর লড়াই হয়। সে নির্বাচনে পাল্টে যায় ভোটের সব হিসাবপত্র। কাজী মনিরকে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন গাজী। এরপর সপ্তাহে ৩-৪ দিন এলাকায় সাধারণ মানুষকে সময় দিয়ে আর উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. শওকত আলীকে দেড় লাখেরও অধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন তিনি।
তার জনপ্রিয়তার কারণে রূপগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র তারাবো পৌরসভা থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন গাজীর সহধমির্ণী হাসিনা গাজী। বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলায় চার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের মধ্যে শুধু হাজার কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে উপজেলার চিত্র বদলে গেছে। রূপগঞ্জে তৈরি হয়েছে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু এবং ৪ লেনের উড়াল সেতু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরণি, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র আর নির্মানাধীন ঢাকা বাইপাস সড়ক গড়ে তুলেছে আধুনিক রূপগঞ্জের প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়া সড়ক, কালভার্ট, সেতু, ব্রিজ সংস্কার ও নির্মাণে দিন দিন নতুন সাজে সেজেছে রূপগঞ্জ। গোলাম দস্তগীর গাজী প্রতিনিয়তই এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটাছুটি করেছেন। চাকরি দিয়েছেন রূপগঞ্জের শতাধিক বেকারকে। নারীদের রাজনীতিতে সক্রিয় করেছেন। এ জন্য মনোনয়ন দৌড়ে অনেকেই তার নাম এগিয়ে রাখছেন।
মন্তব্য করুন