ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার চাঞ্চল্যকর আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৭ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তি ও হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত জব্দের পর রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ এ দাবি করেন।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, মাদক ব্যবসার ভাগাভাগি ও কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তুরাগকে হত্যা করেন তার সহযোগীরা। তিনি জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসার কর্তৃত্ব নিয়ে কানা তুষার গ্রুপের সঙ্গে তুরাগের কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গাঁজা ক্রয়কে কেন্দ্র করে তুরাগ কানা তুষারকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে কানা তুষার গ্রুপ পরিকল্পনা করে তুরাগের সাথে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে গত ১০ অক্টোবর কানা তুষার গ্রুপের ৭ জন কৌশলে তুরাগকে গোবিন্দপুরের একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে এক সঙ্গে ইয়াবা সেবন করার পর তারা সবাই মিলে তুরাগকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হাত কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিহত হয় তুরাগ।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ১৭ অক্টোবর আক্কাস জমাদ্দার ও ৬ নভেম্বর টিপু খা নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে টিপু খা’র স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৮ নভেম্বর রাতে প্রথমে জুয়েল শেখকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে আটক করে। জুয়েলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোর রাতের আগে মো. রাজন ওরফে কালা রাজন ও মো. সাজনকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভাষানচর গ্রামের পলাতক আসামি শাহিন শেখের ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি রামদা জব্দ করে পুলিশ। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
মন্তব্য করুন