খুলনার রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশ থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম বনমালী মণ্ডল।
৪০ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী খুলনার কয়রা উপজেলার ৬নং কয়রা গ্রামের জোতিন্দ্র নাথ মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৫ জুন) দুপুর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা করতে যায়। তিনি আত্মগোপন করেছে জানিয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ স্বজনদের।
কী বলছে পরিবার
বনমালীর চাচাতো ভাই গৌতম মণ্ডল বলেন, ‘রোববার দুপুরের পর থেকে তাকে পাচ্ছিলাম না। তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে রিং হচ্ছিল কিন্তু রিসিভ করছিল না কেউ। একপর্যায়ে রাতে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন আমরা পুলিশকে অবহিত করি।’
তার ভাইকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকে তার ভাইয়ের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ এসেছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘বিকেল ৪:৩০ থেকে কারা যেন আমার চোখ বেঁধে আটকে রাখছে। ...আমি বিপদে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশকে দেখিয়ে অপহরণ মামলা করতে চাইলে আত্মগোপন করেছে জানিয়ে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি।’
কী বলছে পুলিশ
তবে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মুক্তা বলেন, ‘আমি রোববার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থানাতে ডিউটিরত ছিলাম। ওই সময়ের মধ্যে কেউ মামলা করতে আসেনি।’
খুলনা রেলওয়ে পুলিশের এসপি মো. রবিউল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশে মরদেহটি পড়ে ছিল। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এখন বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন