মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চতুর্থ পর্যায়ের নির্ধারিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন পাকা ঘর ৩৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া এলাকায় উপকারভোগীদের কাছে গৃহ হস্তান্তর করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী, কুলাউড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম. মছব্বির আলী, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুলাউড়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হাসান সিপন, কুলাউড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য মো. ইব্রাহিম আলীসহ অনেকে।
‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’—মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় কুলাউড়ায় প্রথম ও দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ৪১৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা হয় একটি ঘর। গৃহহীনদের জন্য যা স্বপ্নের বাড়ি।
নতুন ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপকারভোগীরা বলেন, ‘শেখের বেটি (শেখ হাসিনা) কারণে আমরা নতুন ঘর পাচ্ছি। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি একটি পাকা ঘর পাবো। কিন্তু শেখের বেটির কারণে আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন মরার আগে কিছুদিন শান্তিতে বাঁচতে পারব।
‘প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন। আমরা এখন আর কারো অবহেলার পাত্র নায়, আমরা এখন নিজেদের ঘরে খুবই সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি। প্রশাসন আমাদের সবসময় খোঁজখবর রাখছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ের নির্ধারিত উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর কৌলা (ঢুলিপাড়া) এলাকায় ৩৬টি, ফরিদপুর এলাকায় ২৬টি, হাজীপুরের পীরের বাজারে ৫টি, শরীফপুরের কালারায়ের চর এলাকায় ১৬টি ও কর্মধা ইউনিয়নের দক্ষিণ টাট্টিউলীতে ১৩টিসহ মোট ৯৬টি ঘর সরকারের খাস জমিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১১০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১১৩টি ও চতুর্থ পর্যায়ে ৯৬টি ঘর বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে চতুর্থ পর্যায়ের ৩৬টি ঘর হস্তান্তরের পর বাকি ঘরগুলো হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরই মধ্যে যেসব ঘরে ভূমিহীনরা উঠেছেন তাদের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন