শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৫-১৬ বছর ঢাকা-১৮ সংসদীয় এলাকার এমপি-কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। রশিদ গ্রুপের আয়োজনে এই অনুষ্ঠান হয়।
কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার আমলে এই এলাকায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই এমপি-কাউন্সিলররা গত ১৫-১৬ বছরে এইভাবে ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে কিংবা সুখে-দুঃখে এলাকাবাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন কিনা, আমার জানা নেই। বিএনপি গণমানুষের দল, জনগণের জন্যই বিএনপির রাজনীতি। তাই আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা আমাদের সাধ্যমতো উপহারসামগ্রী নিয়ে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।
আগামীতেও এলাকাবাসীর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে কফিল উদ্দিন বলেন, আপনারা দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে আরও বেশি কিছু নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারি।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিবেন। আগামী দিনে যে কর্মসূচি আসবে, তাতে অংশগ্রহণ করবেন।
কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসা, সমর্থন ও ভোটে বিজয়ী হয়ে বিএনপি ইনশাআল্লাহ সরকার গঠন করবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কয়েকশ' পরিবারের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, বিএনপি নেতা মুকুল সরকার, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ইলোরা পারভীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ঈদুল ফিতরেও রশিদ গ্রুপের উদ্যোগে দুস্থ, অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে একাধিক দিন উপহার সামগ্রী হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন