বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর-হেলেঞ্চা গ্রামে ধনতলা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ছয়বছর ধরে ভেঙে ডুবে আছে খালের পানিতে। ভরসা একমাত্র বাঁশের সাঁকো।
জানা যায়, ২০১৭ সালের শেষের দিকে একটি কাঠ বোঝাই ট্রাক সেতুটি দিয়ে পার হওয়ার সময় সেতু ভেঙে খালের পানিতে ডুবে যায়।
জনসাধারণের চলাচলের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে দেন। এখন বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষের।
এ ছাড়াও ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খয়রাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেবপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস ও ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ খয়রাবাদ বাজার, আর ধনতলা খালের সাঁকোই চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
বর্তমানে যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহারের অনুপযোগীর পথে। স্কুল মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে নিয়মিত। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে গারুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কাইয়ূম খান বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ সেতুটি ভেঙে ডুবে গেছে। সেই থেকে জনসাধারণ এখনো বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটিও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমি আমার সাধ্যমতো সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চেষ্টা করে যাচ্ছি নতুন ব্রিজের জন্য।
উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, সরেজমিনে গিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি দেখেছি। ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন