কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ৫৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩টি শিশু রয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগাহছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ইয়াছিন বাহিনীর প্রধানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে টেকনাফ মডেল থানার হলরুমে পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল রাসেলের তত্ত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনির নেতৃত্বে
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে টেকনাফ মডেল থানার একটি পুলিশ টিম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিরতিহীন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচারকারী চক্রের ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান দালাল মো. ইয়াছিন (২৩), দরগারছড়া এলাকার মো. জুবায়ের (৩৫), উত্তর লম্বরীর নাজির হোসেন (৬১) ও নোয়াখালীর রামিমুল ইসলাম রাদিদকে (৩১) গ্রেপ্তার করে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে উখিয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল বলেন, দালালদের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সাগরপথে একটি দল মালয়েশিয়া পাচার হচ্ছে, এমন সংবাদে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগার ছড়ার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে ৫৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তন্মধ্যে ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান ইয়াছিনসহ চার দালালকে আটক করা হয়। উদ্ধারদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পের বাসিন্দা।
পুলিশের কাছে উদ্ধার মালয়েশিয়াগামী আবু ছৈয়দ জানান, দালালকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে তিন শিশু সন্তানসহ সাগরপথে মালয়েশিয়া উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করেন তিনি। বাকি দুই লাখ টাকা ইন্দোনেশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দালালরা টেকনাফের একটি পাহাড়ে ৫ দিন আটকে রাখে তাদের। অবশেষে যাত্রার প্রস্তুতিকালে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। দালালদের কাছে পাহাড়ে আরও অনেক রোহিঙ্গা আটক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে চার দালালসহ ৫৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের এ অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন