ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

৬ ডিসেম্বর : ফেনী মুক্ত দিবস আজ

ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা
ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা

আজ ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস। ৫২ বছর আগে ফেনীতে সেদিন সকালটা এসেছিল অন্যরকমভাবে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে রক্তাক্ত এ জনপদে সেদিন এসেছিল প্রতিক্ষিত ‘মুক্তি'। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে জনপদে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার প্রথম সূর্য।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে জেলা প্রশাসনের রয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। এর মধ্যে সকাল ১০টায় শহরের জেল রোডস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ফেনী সরকারি কলেজে বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে আলোচনা সভা ও একইদিন সন্ধ্যায় ট্রাংক রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক নেতারা, সুধীজনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিবে।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার ও আলবদরদের হটিয়ে ফেনীকে হানাদারমুক্ত করে স্বাধীন করা হয়। ওইদিন সকাল থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা ২নং সাব সেক্টর কমান্ডার ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক লে. কর্নেল জাফর ইমাম, বীর বিক্রমের (তৎকালীন ক্যাপ্টেন) নেতৃত্বে দলে দলে লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে ফেনী শহরে প্রবেশ করে।

সেদিন সকালটা যেমন ছিল

’৭১-এর ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে জিম্মি ছিল ফেনী। ফলে সেদিন সকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে অনেকেই হকচকিত হয়ে ওঠেন। অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের এ স্লোগান প্রথম বিশ্বাসই করতে পারেননি। সত্যিই আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে দেখতে পান। তখন লোকজনের ভুল ভাঙতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দিতে শুরু করেন।

৬ ডিসেম্বর সকালের বর্ণনা দিতে গিয়ে লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম, বীর বিক্রম বলেন, আমরা যখন ফেনী প্রবেশ করলাম ক্ষণিকের মধ্যে ফেনী শহরে জনতার ঢল এসেছিল। শুরু হয় বিজয় মিছিল। জয়বাংলা স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। রাস্তায় জনগণ যেখানেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে সেখানেই তাৎক্ষণিক তারা আলিঙ্গন করে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়ছিল। অনেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কোলে করে রাস্তা পরিদর্শন করছিল। রাস্তার দু’পাশ থেকে জনতা দু’হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। মিছিলে মিছিলে শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের পতাকা। অনেককে বিজয়ের আনন্দে কাঁদতে দেখেছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: বিজয়ের ৫৩ বছর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৈঠকের পর মামদানির প্রশংসায় ট্রাম্প

শ্রমিকদের স্বার্থে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান শেখ বাবলুর

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবি

তারাগঞ্জের কালেক্টরেট বামনদিঘি ইকোপার্ক

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

১০

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

১১

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

১২

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

১৩

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১৪

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৫

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১৬

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৭

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৮

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৯

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

২০
X