ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের পাশে বন্দুক নিয়ে চেয়ারে বসে থাকা বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল মিয়াজী এবার সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বন্দুক হাতে তার ছবি পত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর শাহজাহান ওমরকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। এ ঘটনার পর জলিল মিয়াজীকে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ‘মিয়াজী বার্তা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এক সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই নামে ফেসবুক ব্যবহার করে আসছেন জলিল মিয়াজী।
মিয়াজী বার্তার ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর সব মিথ্যাচার ও নোংরামির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। হলুদ সাংবাদিক অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে। সবার আমলনামা আমার হাতে জমা আছে। বিজয় মিছিলের পর উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। যারা বেশি লাফালাফিতে ব্যস্ত তারা সামলাইতে পারবা তো?’
এই ফেসবুক আইডিতে ২ অক্টোবর লেখা হয়েছিল, ‘এই অক্টোবর মাসেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। কিছুদিনের মধ্যে এই সরকারের পতন হবে।’
এ প্রসঙ্গে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল মিয়াজী বলেন, ‘আমি ঢালাওভাবে সব সাংবাদিকদের উদ্দেশে লিখিনি। আমি নির্ধারিত একজনের উদ্দেশে লিখেছি।’
এ বিষয়ে বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ হয়ে জলিল মিয়াজী সাংবাদিকদের সম্পর্কে ফেসবুকে যা লিখেছেন, তা যথেষ্ট কুরুচিপূর্ণ এবং আপত্তিকর। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ফেসবুকে হুমকি দেওয়া অবুঝদারের শামিল। একজন ব্যক্তি, সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রকাশ হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হুমকি দেওয়া দুঃখজনক।’
বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হিরা বলেন, অসত্য সংবাদ প্রকাশ হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জলিল মিয়াজীর স্ট্যাটাস নিঃসন্দেহে আপত্তিকর। তিনি বিজয় মিছিলের ঘোষণাও দিয়েছেন, যা আইনসিদ্ধ নয়।’
মন্তব্য করুন