দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার দাবিতে সমাবেশ করেছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে ১৩টি ক্যাম্পে এ কর্মসূচির আয়োজন করে তারা।
সমাবেশে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ চলাকালীন সময়ে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছেন। যার জন্য রোহিঙ্গারা কৃতজ্ঞ। এখানে ছয় বছর ধরে ক্যাম্পে বন্দি জীবন যাপন করছি। আমরা দ্রুত মিয়ানমারে নিজ ভিটায় ফিরতে চাই।
প্রত্যাবাসনের সমর্থনে উখিয়ার কয়েকটি ক্যাম্পের সমাবেশে সম্প্রতি প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের পরিবারে রেশন বন্ধ করে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার কড়া সমালোচনা করেন রোহিঙ্গা নেতা ও সাধারণ রোহিঙ্গারা। তাদের ভাষ্য, কেউ আমাদের সাহায্য করা মানে এই নয় যে, পুরো রোহিঙ্গা জাতিকে তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকতে হবে। আমাদের ভালো-মন্দ আমাদের বেছে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের আজীবন শরণার্থী করে রাখার পরিকল্পনা মেনে নেবেন না বলেও জানান তারা।
দ্রুত স্বদেশে (মিয়ানমারে) ফিরে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা দাবি করে টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, ‘আমরা আর বাংলাদেশে থাকতে চাই না। দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং চলাচলের স্বাধীনতাসহ নিজ গ্রামের ভিটেমাটি ফেরত দিলে এই মুহূর্তে মিয়ানমারে চলে যাব।
এদিকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, '‘আমরা আর শরণার্থী জীবন চাই না। সামনের দিনগুলোতে আমরাও আমাদের জন্মভূমি আরাকানে জীবন যাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের দেশে ফেরার ব্যাপারে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা।
মন্তব্য করুন