গাজীপুরের টঙ্গীতে যুবলীগের নেতা নেতা কাইয়ুম সরকারকে চড় থাপ্পড় মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নূরুল ইসলাম নূরুর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টঙ্গীর নোয়াগাঁও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাস ভবনের পাশে ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গাসিক ৪৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সভার আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গাসিক ৪৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চূড়ান্ত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সভা চলাকালে সভায় যোগ দেন যুবলীগ নেতা কাইয়ুম সরকার। তিনি গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সদস্য পদে রয়েছেন। সভা চলাকালে হঠাৎ ওয়ার্ড কাউন্সিল নূরুল ইসলাম নূরু আলোচনা সভায় ওই যুবলীগ নেতা দেরিতে উপস্থিত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে ওয়ার্ড কাউন্সিল নূরুল ইসলাম নূরু ওই যুবলীগ নেতাকে চড়থাপ্পড় মারেন। পরে উভয় সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে উপস্থিত গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি বিষয়টি দায়িত্ব নেন।
গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সদস্য কাইউম সরকার কান্না জড়িত কণ্ঠে কালবেলাকে বলেন, কাউন্সিলর নুরুল ইসলামের সঙ্গে আমার পূর্ব বিরোধ ছিলো। আজ দেরি করে সভায় উপস্থিত হওয়ার বিভিন্ন অযুহাতে আমাকে চড়থাপ্পড় মারেন। আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। আমি সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।
অভিযুক্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নূরুল ইসলাম নূরু কালবেলাকে বলেন, আমি কাউকে মারিনি। আমি কিছুই জানি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোটর শ্রমিকলীগের এক নেতা বলেন, সন্ধ্যায় সভা চলাকালে সভায় দেরি করে উপস্থিত হওয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিল নূরুল ইসলাম নূরু যুবলীগ নেতাকে চড়থাপ্পড় থাপ্পড় মারেন। এ সময় যুবলীগ নেতার কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যুবলীগ নেতা কাইউয়ুম সরকার এখনো অভিযোগ জানায়নি।
মন্তব্য করুন