শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মাদ্রাসা সুপারকে টাকা গোনায় সহযোগিতা করছেন মো. ছগির। ছবি : কালবেলা
মাদ্রাসা সুপারকে টাকা গোনায় সহযোগিতা করছেন মো. ছগির। ছবি : কালবেলা

বরগুনার এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জেলার কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলম ওরফে নাসিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) মো. শাহজালাল হাওলাদার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, ছেলের চাকরির জন্য ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলমকে ৯ লাখ টাকা দেন ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার। মাদ্রাসা সুপার দ্রুত চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও চাকরি দিতে না পারায় ১৪ মাস পর ৪ লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বারবার তারিখ দিলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাংক থেকে ৯ লাখ টাকা তুলে মাদ্রাসা সুপারের হাতে দিচ্ছেন ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার। পরে ওই মাদ্রাসা সুপার প্লাস্টিকের একটি ব্যাগে টাকাগুলো রাখছেন। এ সময় তালতলী সালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. ছগির উপস্থিত ছিলেন ও টাকা গোনায় সহায়তা করেন।

ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার বলেন, বাড়ির জমি বিক্রি করে ছেলের চাকরির জন্য ৯ লাখ টাকা দিলে মাদ্রাসা সুপার মাহবুব আলম খুব দ্রুত চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ১৪ মাস তিনি কোনো যোগাযোগ করেনি। পরে চার লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি পাঁচ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। চাকরির নামে এমন প্রতারণার কঠিনতম শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মাদ্রাসা সুপারের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে মো. ছগির বলেন, চাকরি দেওয়ার ব্যর্থ হয়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন সুপার। বাকি টাকা দেওয়ার কথা শুনেছি। তবে ফেরত দিয়েছে কিনা আমি জানিনা।

মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলম টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, টাকার ব্যবস্থা করছি। কিছু দিনের মধ্যে টাকা হয়ে গেলেই সব টাকা ফেরত দিয়ে দেব।

কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মারুফ বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে মাদ্রাসার সুপার মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। তবে চাকরি দেওয়ার ব্যর্থ হয়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও বাকি টাকা দিচ্ছেন না। চাকরিও দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিটু চট্রপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় আগুনে নিঃস্ব তিন পরিবারের পাশে তারেক রহমান

শেষ হলো ঢাকা জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলা

ট্রাম্পের হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ

এনসিপির সেই নেত্রীকে অব্যাহতি

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে লঙ্কান ক্রিকেটারের বাবার মৃত্যু

বিদেশি ঋণে রেকর্ড, ১১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

‘শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলবে’

দুই দফা দাবি / আন্দোলনস্থান ত্যাগে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

১০

শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

১১

গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

১২

রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে এক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৩

ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন / অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব

১৪

পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

১৫

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

১৬

চাকসুতে ১০ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

১৭

চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি করতে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনার উদ্যোগ চসিকের

১৮

রাত নামলেই লুট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর বেড়িবাঁধের ব্লক

১৯

পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা গিরীধারী লালের পরলোকগমন

২০
X