কোরবানির ঈদে বাপের বাড়ি থেকে গরু না দেওয়ায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সুমি আক্তার জিন্নাহ (১৯) নামে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ শারীরিক, নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
উপজেলার মির্জাপুর ইউপির সৈয়দপাড়ায় ঈদের দিন রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি ওই এলাকার মো. ফরিদ মিয়ার পুত্র প্রবাসী মো. তাজুল ইসলাম নয়নের (৩৩) স্ত্রী। পার্শ্ববর্তী ইউপির মো. সিরাজ ও মীনা আক্তারের কন্যা।
নিহত সুমির শ্বশুর ফরিদ মিয়া বলেন, ‘তাজুল ইসলাম আমার ১ম ঘরের সন্তান। সে প্রবাসে রয়েছে। যৌতুক নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এ অভিযোগ মিথ্যা। কোরবানির গরু চায়নি তারপরও ছাগল পাঠিয়েছে। অভিমানে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। বউ শাশুড়ির মধ্যে কী হয়েছে আমি জানি না। আমরা কোনো ধরনের নির্যাতন করিনি।’
নিহত সুমির মা মীনা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে নয়নের বিয়ে হয়েছে এক বছর হয়নি। এর মধ্যেই বাপের বাড়িতে লাশ হয়ে ফিরেছে সুমি। ১০ লাখ টাকার কাবিনে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সুমিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এই কোরবানি ঈদে গরু দেওয়ার কথা বলেছিল। অর্থের অভাবে গরু দিতে না পেরে ছাগল দিয়েছি। এটিই কাল হয়ে দাঁড়াল আমার মেয়ের সংসারে। শুধু একটি গরু দিতে না পারায় আজকে আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শোয়েব আহমেদ খাঁন কালবেলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আসলে রহস্য জানা যাবে। ভিকটিমের পরিবার যদি অভিযোগ দেন, তাহলে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন