বরগুনা আমতলীতে (ভিজিএফ) কর্মসূচির চালের কার্ড চাওয়ায় বিউটি বেগম (৫০) নামে এক বিধবা নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.পান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঘটখালী জয়নাল কাজীর দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল।
বিধবা বিউটি বেগম উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা কাজীর মেয়ে। সে চালিতাবুনিয়া গ্রামের মৃত মোশাররফের স্ত্রী।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী বিউটি বেগমের স্বামীর মৃত্যুর পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ও এলজি ইডির (RERMP) প্রকল্পের আওতায় সড়কের মাটির কাজ করে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এ ছাড়া উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পান্নু ওই নারীকে সরকার প্রদত্ত ভিজিএফের চালের কার্ড করে দিবে বলে ৫ হাজার টাকা নেন। বিউটি বেগম ভিজিএফের কার্ড চাইলে তিনি তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায়ে তাকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এক প্রতিবন্ধীর লাঠি নিয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এরপর তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় মেম্বার উপস্থিত লোকজনের সামনে তাকে হুমকি দিয়ে বলে, এ ঘটনায় কোনো বিচার বৈঠক বসালে পুনরায় পেটানো হবে। প্রত্যক্ষদর্শী রিনা বেগম বলেন, পান্নু মেম্বার বিউটি বেগমকে মারধর করেছে। আমরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে তার চিকিৎসা করিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাওড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পান্নু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিজিএফের কার্ড চাওয়ায় বৃদ্ধ নারীকে মারধর করিনি। তবে গালমন্দ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান খান বাদল বলেন, বিধবা মহিলা আমার কাছে বিচারের জন্য আসছিল। আমি বলেছি, আগে ডাক্তার দেখাও, ওষুধ খাও। আমি বিষয়টি দেখব।
আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন