কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হলেও অভিযান শুরু হলে তা ১১০ টাকায় নেমে আসে। ফলে আধা ঘণ্টার মধ্যে ক্রেতারা বিভিন্ন মুদি দোকান থেকে ১-২ কেজি করে সব পেঁয়াজ কিনে নেয়।
বেশ কয়েকদিন ধরে সারা দেশের মতো চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ীরাও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পালের নেতৃত্বে একটি টিম চৌদ্দগ্রাম বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাহতাব উদ্দিন, পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইমাম হোসেন সজিব ও থানার উপপরিদর্শক আবদুল মতিন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজারের ওয়াপদা রোডের দিলীপ স্টোর, ইবরাহিম স্টোর, চৌদ্দগ্রাম বাণিজ্যালয় ও মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ফকিট স্টোরে অভিযান চালায়। অভিযানের খবরে সব বিক্রেতাই ১১০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। এ সময় পরবর্তীতেও যেন সহনীয় দামে বিক্রি অব্যাহত রাখে এমন নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর গ্রামের ছকিনা বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলের জন্য শীতের কাগড় কিনতে বাজারে এসেছিলেন। অভিযানের সময় পেঁয়াজের দাম কম হওয়ার খবর শুনে আমিও ১১০ টাকা করে ১ কেজি ক্রয় করি। কারণ-আমাদের এলাকায় পেঁয়াজের কেজি ছিল ২১০ টাকা। আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবেদন করছি তারা যেন প্রতিদিন সিন্ডিকেট কর্তৃক দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দাম রোধে অভিযান পরিচালনা করে। এতে করে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে।’
একই কম কথা বলেছেন কনকাপৈত ইউনিয়নের আগুনশাইল গ্রামের আবদুল কাদের, শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামের মফিজ মিয়া, বাতিসা ইউনিয়নের দৈয়ারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন ক্রেতা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল বলেন, ‘পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অভিযান চলমান থাকবে।’
মন্তব্য করুন